ইউটিউব ভিডিও মার্কেটিং টিউটোরিয়ালঃ ইউটিউব থেকে আয় / ইনকাম করার সেরা উপায়

শুরুতেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি । নিম্নোক্ত টিউটোরিয়াল গুলি সম্পূর্ণ কপি-পেস্ট । নিজে ইউটিউব এ কাজ করি । তাই ভাবলাম সব ভালো টিউটগুলি একসাথে করি সবার ই ভালো হবে । চলুন শুরু করি তাহলে ।

১ । ইউটিউব অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট এপ্রুভ লাগবে ? খুব সহজেই নিয়ে নিন
Basic Steps:
১. প্রথমেই আপনার একটি Gmail Account লাগবে। আপনার সঠিক ইনফর্মেশন দিয়ে একটি Gmail Account তৈরি করে নিন।
২. ইউটিউব.কম গেলে আপনার জিমেইল এর নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি হয়ে যাবে। এখন প্রথম কাজ শেষ। এখন পরের কাজ-
Advance:
1. Click On Your Avatar>Creator Studio>Channel>Advanced এ যান। আপনার Country বাংলাদেশ থেকে ইউনাইটেড স্টেট্‌স এ পরিবর্তন করুন।
2. Channel>Status and Features এ আপনার চ্যানেল ভেরিফাই করুন।
3. Enable Monetization. স্টেপসগুলো অবলম্বন করে Enable করে নিন।
4. ১৫ মিনিটের দীর্ঘ ভিডিও আপলোড করার জন্য Longer Videos Enable করে নিতে পারেন।
5. Channel>Monetization>How will be i get paid এ ক্লিক করুন। স্টেপসগুলো অবলম্বন করুন এবং আপনার সঠিক বেক্তিগত ইনফর্মেশন দিয়ে অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিন।
এখন আপনার নিজের ভিডিও বানান এবং তা মনেটাইজ করে ইউটিউব থেকে ইনকাম করুন।
বিঃদ্রঃ অ্যাডসেন্স এ অ্যাপ্লাই করার আগে ২-৩টা Unique ভিডিও আপলোড করে নিলে আপনার আপ্প্রভ পেতে কোন সমস্যা হবে না।
২। যারা ইউটিউবকে প্রফেসনালি নিতে চান তাদের জন্য একটু আলাদা আটটি ভিডিও ক্রিয়েসন আইডিয়া
আমরা স্বভাবত ভিডিও তৈরির জন্য যে সব আইডিয়ার ভিডিও বানাই তা সাধারনত টিউটোরিয়াল, প্রাঙ্ক ভিডিও অথবা অন্যের ভিডিওর ভেতরে সিমাবদ্ধ থাকে। আবার নতুনদের তো প্রথমেই মনে হয় ভিডিও বানানো হয়তো বেশ শ্রম এবং ব্যায়সাধ্য ব্যাপার।……
 কিচ্ছু বল্লাম না আর। অন্যের ভিডিওরে হাজার দিক থেকে এডিট কইরা সেটা ইউটিউবে ছাড়ার জন্য পরিশ্রম আরো বেশি যায় ব্রো ….
তো বলুন কি করতে পারি ? –
একটু ভাবুন আপনি কোন জিনিসটা ভালো পারেন। নাচ,গান, ছবি আকা, মাইক্রোকন্টোলিং, রান্নাবান্না, সাজগোজ, সাইকেল স্টান্ট, অথবা ডেইলি মুভি, নিউজ, খেলাধুলার আপডেট। এসবের ভেতর কোন না কোন একটা জিনিসে আপনার অবশ্যই আগ্রহ আছে। আপনি সেটিকে বেছে নিয়ে সেটির উপরে ভিডিও বানাতে পারেন।
প্রশ্ন করতেই পারেন এতে করে লাভ কি?
ভাই ! ঘুরে ফিরে সেই এক কথাই আসলো। আপনি যদি আপনার আগ্রহের বিষয়টিকে আপনার চ্যানেলের নিশ করে নিন তাহলে নিঃসন্দেহে ভিডিও ক্রিয়েশনটা ভালো হবে। প্রতিদিন ভিডিও আপলোড করার দরকার নেই। সপ্তাহে একটা অথবা মাস দুইটা করে ভালো ভিডিও আপলোড করুন। এসইও করুন। মাস ছয়েক পরে সাবস্ক্রাইবারের অভাব হবে না।
এবার আসুন কাজের কথাতে। আপনাদের কাছে আমার দৃষ্টিকোন হতে নতুন এবং অভিজ্ঞ ইউটিউবারদের জন্য আটটি আলাদা রকম ভিডিও ক্রিয়েশন আইডিয়া উপস্থাপন করবো। এবং মজার ব্যপার হচ্ছে ভিডিও রেকর্ড এনাবেল একটি স্মার্ট ফোন এবং ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার ছাড়া কোন খরচই লাগবে না এই আইডিয়া গুলো নিয়ে কাজ করতে।শুধু হাই সিপিসি দেখে আর কতো ভিডিও বানাবেন ?
তো চলুন শুরু করা যাক…..
১. অরিগামি টাইপের জিনিসের উপর ভিডিও –
অরিগামি মানে কাগজকে টুকরা না করে শুধু মাত্র ভাজ করে সেটি দিয়ে পাখি, নৌকা, ফুল এই টাইপের জিনিস বানানো। এছাড়া ফেলনা জিনিসকে (প্লাস্টিকের বোতল, পুরাতন কলম, পন্য বহনকারি কার্টুন, ফেলে দেওয়া বাক্স) কাজে লাগিয়ে কি করে ব্যবহার যোগ্য জিনিস বানানো যায় তার উপরে অসংখ্য ক্রিয়েটিভ ভিডিও বানাতে পারেন।
২. ‎ঘরোয়া কাজের উপর ভিডিও বানাতে পারেন –
যেমন বই বাধাই করা, ঘোলা আয়না কি করে পরিষ্কার করা যায়, রান্নাবান্না, সেলাই, বাগান পরিচর্যা এসব টপিকের উপর ভিডিও বানাতে পারেন। এসব জিনিস অনেকেই খুজে ইউটিউবে। তার মানে বেশ ভালো অঙ্কের সাবস্ক্রাইবার পাবেন।
৩. পেইন্টিং –
পেন্টিং মানে ছবি আকা না। পেইন্টিং মানে বিশাল একটা বিষয়। আপনি যদি ভালো আঁকতে পারেন তাহলে আপনি আপনার ইউটিব চ্যানেলে থ্রিডি পেইন্ট, ইলিউসন পেইন্ট, ফর্মাল পেইন্ট, এসবের উপর নিজের বানানো ভিডিও আপলোড করতে পারেন। এই ভিডিও গুলো যদি ক্রিয়েটিভ এবং সহজ কিছু স্টেপের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন তাহলে এটিই হতে পারে আপনার মুল কাজের এবং আয়ের ক্ষেত্র।
৪. ‎মাইক্রোকন্টোলিং নিয়ে ভিডিও –
জিনিসদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি। রোবট, সার্কিট, ইলেক্ট্রনিক্স নিয়ে গ্রুপের এক জন একটা চ্যানেল করা উচিত। নিজের বানানো অথবা অন্যের আইডিয়া থেকে বানানো প্রজেক্ট গুলো নিয়ে সহজ ভাষায় উপস্থাপন করে ভিডিও বানানো যেতে পারে (কেও সাবস্ক্রাইব না করলেও আমি করবো)। তাছাড়া আপনি চ্যানেলে আরো কিছু ভিডিও রাখতে পারেন যেমন নষ্ট রিমোট, টর্চ, ক্যালকুলেটর, প্রয়োজনিয় ইলেক্টনিক্স জিনিসপত্র কি করে ঠিক করা যায় তার উপর। এক বন্যা শেয়ার পেতেও পারেন।
৫. ‎হয়ে যেতে পারেন শিক্ষক –
আপনি হয়তো পিয়ানো, গীটার, তবলা বাজাতে পারেন। অথবা আপনি অনেক ভালো নাচতে পারেন। এখন আপনার মোবাইল ফোনটি ব্যাবহার করুন। ইউটিউবএ আমাদের বাংলাদেশি এখনো কোন চ্যানেল নাই যেখানে পিয়ানো, গীটার, নাচ অথবা গান শিখানো হয়। আপনি পারলে আপনিও শুরু করতে পারেন। বেশ সাড়া পাবেন।
৬. খেলাধুলার উপর কিছু করতে পারেন –
হয়তো আপনি অনেক ভালো সাইকেল চালাতে পারেন অথবা ভালো ক্রিকেট, ফুটবল খেলতে পারেন। আপনি আপনার চ্যানেলে বিভিন্ন রকম ক্রিকেটের ভালো শর্ট খেলার কৌশল, ভালো ফুটবল খেলার কৌশল, সাইকেলের হরেক রকম স্টান্ট, শেয়ার করতে পারেন। এই রকম বাংলা ভিডিওর অনেক অভাব আছে।
৭.নিজেকে ভালো করে উপস্থাপন করতে পারেন –
সেই দিন ফেসবুকে এক ভাইের সাথে কথা হল। সে ভালো আরজে হতে পারতো। হয়তো ভাগ্যের জন্য হতে পারে নাই। আপনারও হয়তো সেই মেধা আছে। সুন্দর করে আপনি মোবাইলে ভিডিও রেকর্ড অন করে আপনি সাম্প্রতিক সময়ের কিছু ঘটনাকে মজার কিছু ভঙ্গিমাতে উপস্থাপন করতে পারেন। পারলে বন্ধুদের হেল্প নিতে পারেন। মনে রাখবেন মানুষ অধিকাংশ সময় বিনোদনের জন্যই ইউটিউবে যায়। আপনি যদি আপনার এই রকম বিনোদন মুলক চ্যানেলের মাধ্যমে যুক্তি-যুক্ত কিছু তুলে ধরতে পারেন তাহলে সাবস্ক্রাইবার তর তর করে বেড়ে যাবে।। তাছাড়া আপনি যদি নিজেকে আর ভালো করে উপস্থাপন করতে পারেন তাহলে আপনি পাঠ্যবইের কিছু বিশ্রী সমস্যার সহজ এবং সাবলীল সমাধান দিতে পারেন আপনার ভিডিওতে। যেমন পিথাগোরাসের সেই উপপাদ্য, নিউটনের দাঁতভাঙ্গা প্রস্তাবনার সমাধান, গাণিতিক বিখ্যাত সমস্যা গুলোর সমাধান। আর অবশ্যই ভিডিও আপলোড করার পরে এসইও করার কথা ভুলবেন না।
‎৮. নতুন আপডেট হতে পারে একটি চ্যানেল আইডিয়া –
এই আইডিয়া কতটা কার্যকর জানি না। তবে আমি বিদেশি কিছু নামি চ্যানেলে দেখেছি এটা। ওদের কাজ হল ওরা তাদের চ্যানেলের মাধ্যমে সাম্প্রতিক হয়ে যাওয়া ঘটনা, দুর্ঘটনা, খেলার গুরুত্বপূর্ণ হাইলাইট, এসব উপস্থাপন করে। আপনিও কাজে লাগিয়ে দেখতে পারেন। তবে ভিডিও কপি করা থেকে দূরে থাকবেন। নিজে উপস্থাপন করবেন। লাগলে কিছু ছবি এড করতে পারেন। সরাসরি কপি করবেন না।
একটু আলাদা করে ভাবুন। দেখবেন ভিডিও ক্রিয়েসন আইডিয়ার অভাব পরবে না। আমার থেকেও হয়তো অনেক ভালো ক্রিয়েসন আইডিয়া আপনার আছে।
সবকিছুর পরে ওই ২টা কথা আবার মনে করিয়ে দেই
কপি করা থেকে বিরত থাকুন ,
এসইও এর কোন বিকল্প নাই ।
৩ । Youtube Monetization Problems থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়
YouTube Video Monetize করতে গিয়ে বেশিরভাগ ইউটিউবারদের অনেক কষ্ট করতে হয়। তার মধ্য আবার অনেক ধরনের monetization problems এ ভুগতে হয়। ইউটিউবের বর্তমানের অন্যতম সমস্যা Under Review এবং Monitoring For Possible Review এ থাকা ভিডিও। কপিরাইটেড ভিডিও আপলোড করলে এই দুটি সমস্যা প্রায় বেশিরভাগ সময়ই দেখা যায় কিন্তু কিছু কিছু সময় নিজের বানানো ভিডিও আপলোড করলেও ভিডিওতে Under review অথবা monitoring for possible review এর চিহ্ন উঠে থাকে। কিছু সময় এই চিহ্ন ৩ দিনের মধ্যেই চলে যায় এবং ভিডিও মনেটাইজ হয়ে যায়। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভিডিও ১ সপ্তাহ, ১ মাস কিংবা আজীবনও Under Review এই থেকে যায়। Monitoring For Possible Review এর অনেকটা একইরকম অবস্থা।
Youtube Monetization পাঁচটি কারণে এই দুটি সমস্যা হয়ে থাকে:
১. যখন ভিডিও এর কোন মিউজিক অন্য কোন চ্যানেলের সাথে মিলে যায় কিন্তু ঐ চ্যানেলের ভিডিও Content ID সিস্টেমের অন্তর্ভুক্ত না হয়।
২. ইউটিউব ভিডিও Processing না করতে পারলে।
৩. অতি দীর্ঘ Video Title।
৪. অধিক বড় ভিডিও।
৫. Edited Copyrighted Footage।
এই সমস্যাগুলো থেকে মুক্তি পেতে হলে অবশ্যই আপনাদের কিছু পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে।
সমাধানঃ
১. Under Review দেখানোর পড়ে, ভিডিওটি Demonetize করুন।
২. Edit অপশনে গিয়ে ভিডিও এর Simple একটি Title দিন। টাইটেলটি ২-৩ শব্দের মধ্যে হতে হবে। যেমনঃ Video 1 অথবা Tutorial Video 1 অথবা 1st May ইত্যাদি।
৩. Video Description এ ৫-৬ শব্দের একটি ছোট ব্যাখ্যা দিন।
৪. Keywords এর অংশটি ফাঁকা রাখুন।
৫. এবার ভিডিওটি পুনরায় Monetize করুন। এখন ভিডিওটি মনেটাইজ হয়ে যাবে।
এখনো না হলে ভিডিও এর অন্যকোন ছোট শর্ট টাইটেল দিন। এছাড়া চাইলে ভিডিওটির বাড়তি কিছু অংশ এডিট করে নিতে পারেন। আশা করি হয়ে যাবে।
অনন্য সমস্যাগুলোঃ Commercial Use Rights, Disapproved Video, No Monetization Icon
Commercial Use Rights:
১. এরকম দেখালে প্রথমে আপনার ভিডিওটি ডাউনলোড করে নিন অথবা আপলোড করা ভিডিওটি আপনার কম্পিউটার থেকে বের করুন।
২. ভিডিও এর ফরমেট পরিবর্তন করে AVI এ রুপান্তরিত করুন। এক্ষেত্রে আপনি Format Factory ব্যাবহার করতে পারেন।
৩. আগের ভিডিও ডিলিট করুন ও AVI Format এর ভিডিওটি আপলোড করুন।
এবার আর আপনার ভিডিও এর Commercial Use Rights ইউটিউব চাইবে না।
Disapproved Video:
ভিডিও এর ব্যাপারে ১০০ ভাগ নিশ্চয়তা ছাড়া কখনও Commercial Proof Rights সাবমিট করবেন না। তাহলেই আপনার ভিডিও Disapprove করা হবে। অতঃপর ভিডিও ডিলিট করা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না।
No Monetization Icon:
ভিডিও যদি কোন Third Party মিউজিক, মুভি অথবা ভিডিও এর সাথে match খায়, তবে আপনার ভিডিওতে কোন Monetization Icon show করবে না। এগুলো থেকে বাঁচার জন্য কপিরাইট এড়িয়ে চলুন।
ছোট খাটো অংশের জন্য যদি শুধু কপিরাইট ধরে তাহলে ভিডিও কোন Video Editing Software দিয়ে এডিট করে দেখতে পারেন।
আর যদি সাউন্ড match খায় তবে Audacity দিয়ে এডিট করে দেখতে পারেন।
৪ । কিভাবে নতুন Youtube Channel থেকে সাফল্য লাভ করবেন
একটি নতুন ইউটিউব চ্যানেলকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া অনেক কষ্টসাধ্য ব্যাপার। প্রথমদিকে কোন ভিউ থাকে না, সাবক্রাইবারস থাকে না, চ্যানেল পপুলারিটি থাকে না। তাই এটি আরো জটিল হয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে দরকার প্রচুর ধৈর্যশক্তি ও কাজ করার ক্ষমতা। কিছু বিষয় মাথায় রেখে মেনে চললে এই কাজটার কষ্ট অনেকটা কমে যায়।
প্রথমত যা লাগবেঃ
১. Screen Video Recording Software
ভিডিও রেকর্ডিং সফটওয়্যার হিসেবে আমি Suggest করব আপনাদের Camtasia ব্যবহার করার জন্য। আমি নিজেও Personally এটা ব্যাবহার করি। Screen Video Recording সহ বেসিক লেভেলের এডিট করা যায়।
htt//goo.gl/ttnfwD এখান থেকে এর Trial ডাউনলোড করতে নিতে পারেন।
২. Video Editing Software
শুরুর দিকে এডিটিংও Camtasia দিয়েই করতে পারেন। এছাড়া এর চেয়ে ভালো এডিটিং এর জন্য Windows Movie Maker রয়েছে। Advance Editing এর জন্য Adobe Premiere Pro এবং Adobe After Effects সবচেয়ে ভালো হবে।
৩. Photo Editing Software
বিশেষ করে Thumbnail তৈরি করার জন্য একটি Photo Editing Software দরকার। Photo Editing এর জন্য Adobe Photoshop এর জুরি নেই।
৪. ক্যামেরা
ক্যামেরা থাকতেই হবে এমন কোন কথা নেই। কিন্তু ভিডিও এর আরো মান বাড়ানোর জন্য ক্যামেরা ব্যাবহার করা সবচেয়ে ভালো। একজন ভিউয়ার একটি ভিডিওতে একজন মানুষের শুধু কথার তুলনায় তার চেহেরা সহকারে বর্ণনাকে বেশি বিশ্বাস করেন। তাই এর ফলে খুব দ্রুত আপনার Subscriber ও ফলোয়ার বাড়বে।
৫. একটি ইউটিউব চ্যানেল
এরপর শুধু একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করুন। ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে আপনাদের এই ডকুমেণ্টটি সাহায্য করবে, https://bn.rubelsbs.com/archives/132
Advance Part:
এইসব উপকরণ নেয়া হয়ে গেলে এরপর কোমর বেধে মূল কাজে নেমে পড়ুন।
আকর্ষণীয় চ্যানেলের নাম
চ্যানেলেরটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চ্যানেলের নাম ভালো না হলে আপনার চ্যানেল সেরকম কোন ভালো পর্যায়ে যাওয়ার আগেই ভেঙ্গে পড়তে পারে। সবার থেকে আলাদা নাম রাখুন। যার নামে এর আগে কোন চ্যানেল তৈরি হইনি। না পেলে সময় নিন, ধীরে সুস্থে ভাবুন। এমন চ্যানেলের নাম রাখুন যা মানুষের জন্য কিছু অর্থ রাখবে এক কথাতেই আপনার পুরো চ্যানেলের বিষয় বৈশিষ্ট্য ফুটিয়ে তুলবে।
কখনই চ্যানেলের নাম কিওয়ার্ড এর সাথে পুরোপুরি মিলিয়ে রাখবেন না। এতে আপনার তেমন কোন বেশি একটা লাভ হবে না।
আমার একটা চ্যানেল আমার নির্দিষ্ট কিওয়ার্ড এর নাম দিয়ে বানানো হয়েছিল। ঐটার সাবসক্রাইবার এখন বর্তমানে 400+। এই একই কিওয়ার্ড এর সাথে সামঞ্জস্য রেখে আপনার আর একটি চ্যানেলের একটি Unique নাম রেখেছিলাম। বর্তমানে সেখানে এখন 7000+ Subscriber আছে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন এটি আপনার চ্যানেলের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
অনন্য
চ্যানেলের কভার, Profile Picture, Description, Home Customization অবশ্যই উন্নত করে রাখবেন। যাতে চ্যানেলের নাম এবং এর প্রতিটি বস্তু একে অপরের সাথে সম্পূর্ণভাবে খাপ খায় এবং সুন্দর দেখায়।
প্রচুর ভিডিও
ভিউ নেই বলে থেমে যাবেন না। ভিডিও আপলোড করতে থাকুন এবং কিন্তু তা অবশ্যই ভালো মানের ভিডিও হতে হবে।
সময় নষ্ট করবেন না
ভিডিও তৈরির প্রতিটি সেকেন্ডই মূল্যবান সেকেন্ড সময়ই মূল্যবান। কখনই একটি সেকেন্ড এর জন্যও আপনার ভিউয়ারসদের বিরক্ত হতে দিবেন না। একটুখনের জন্য তারা বিরক্ত হয়ে গেলেই তারা বাউন্স করবে। বাউন্স রেট 70% এর নিচে থাকলেই তা নেগেটিভ হিসেবে ধরা হয়।
Social Media এর সঠিক ব্যাবহার
বর্তমানে আধুনিক জীবনে মানুষ Google, Youtube থেকে আরো বেশি Facebook, Twitter, Instagram ইত্যাদি সোশ্যাল মিডিয়া বেশি চালায়। তাই অবশ্যই প্রতিটি সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনার ফ্যান পেজ তৈরি করুন। ঐখান থেকে আপনার চ্যানেলের ব্রান্ডিং করুন। কিন্তু অবশ্যই খেয়াল রাখবেন, এটি অ্যাডসেন্স তাই নিজের অফিশিয়াল পেজ ব্যতীত অন্য কোন জায়গায় পোস্ট দেয়া থেকে বিরত থাকুন।
ভিডিও প্রকাশ করার সঠিক সময়
একটি নির্দিষ্ট সময় চ্যানেলে ভিডিও ছাড়লে Audience এর সর্বচ্চ Engagements পাওয়া যায়। এর ফলে সাধারন ভিউ থেকে শতকরা 40%+ এর চেয়ে বেশি ভিউ পাওয়া সম্ভব।
চ্যানেলের ভিউয়ারস এর স্থান, ভাষা ও ইন্টারেস্ট এর উপর এই সময় নির্ভর করে। উদাহরণ হিসেবে আমার চ্যানেলের কথা বলি, আমার চ্যানেলের বেশিরভাগ ভিসিটর US, Canada এবং India থেকে আসে। তাই আমি আমার বেশিরভাগ ভিডিও প্রতি সাপ্তাহের রবিবার একটি ও মঙ্গলবারে আর একটি ভিডিও পাবলিশ করি এবং Extra সময় পেলে শুক্রবারে আর একটি ভিডিও ছাড়ি।
এভাবে আপনিও আপনার নির্দিষ্ট সময় নির্বাচন করে নিতে পারেন।
সঠিক ভিডিও SEO
চ্যানেলের পপুলারটির 60%+ নির্ভর করে ভিডিও এস.ই.ও এর উপর। ভিডিওতে ভালো ভিউ আনতে হলে অবশ্যই ভালো SEO করতে হবে। বাকিসব কন্টেন্ট এর কোয়ালিটির উপর নির্ভরশীল।
Thumbnails
ইউটিউব এর ভিডি দেখার আগে ভিউয়ারস তার Thumbnail দেখে বিবেচনা করে সেই ভিডি দেখে। এই Thumbnail সে সর্বচ্চ ১-২ সেকেন্ড দেখে থাকে(আমি এই সময়ই দেখি :P)। এই ১-২ সেকেন্ডে যার Thumbnail যত ভালো হয় তত ভিউ পড়ে। তাই Thumbnail যত ভালো হবে ভিউ তত বেশি পড়বে। Thumbnail বানাতে Adobe Photoshop এর সাহায্য নিতে পারেন।
Secret Tips
এখন প্রশ্ন হতে পারে যে, “রাঙ্কিং এ তো সবার শুরুতে First Viewers পেতে হয়। এই First Viewers পাব কোথা থেকে? শত SEO করেও তো পারছি না।” এর জন্য আপনাদের জন্য বিশেষ Tips। এটি হচ্ছে “COMMENTS”। অন্য একই টপিক রিলেটেড ভিডিওতে গিয়ে কমেন্ট করুন। কিন্তু আপনার ভিডিও এর লিঙ্ক দিয়ে স্প্যাম কমেন্ট নয়। মানসম্মত কমেন্ট লিখুন। যেমন Nice, Awesome, I like this video, Thank u for the tips. একটি মান সম্মত উদাহরণ এমন হতে পারে, Your video is really helpful. Hope my videos can also help people like that. 😉 কিন্ত এমনি যে লিখতে হবে এমন কোন কথা নেই। অনেকেই এমন করতে গিয়ে স্প্যাম কমেন্ট করে ফেলে। তার থেকে শুধু “Very helpful, thanks” লিখে দেয়াটাই ভালো।
এর ফলে যখন ঐ ভিডিও যখন কোন মানুষ দেখতে যাবে, তখন আপনার চ্যানেলের কমেন্ট দেখবে। অফিশিয়াল নাম এবং Profile Picture তাকে ঐ চ্যানেলে কি আছে তা দেখতে উৎসাহিত করবে। এতে আপনার নিজের বিনোদনও হবে আর কাজও হবে 😛
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
ভিডিও এর মানের উপর আর কোন ঔষুধ নেই। ভিডিও এর মান ভালো হলে একবার Top 20 ranking এ আসতে পারলে ইনশাল্লাহ উপরে উঠতে আপনাকে কেউ থামাতে পারবে না।
৫ । ইউটিউবের Content ID সিস্টেমে অ্যাপ্লাই করার নিয়মাবলী ও গাইডলাইন
বর্তমানে ইউটিউব প্রতি মিনিটে প্রায় ৩০০ ঘন্টার ভিডিও আপলোড হয়, ঐ ভিডিওতে ৪ বিলিয়ন ভিউ হয়, যার মধ্যে ৩ বিলিয়ন ঘন্টা মানুষ ভিডিও দেখে।
এতো বড় সিস্টেমে বিভিন্ন দুই নাম্বারি হওয়া তো স্বাভাবিক 😛 কিন্তু ইউটিউব সব কিছুই নিয়ন্ত্রনে রাখছে।
আসলে এর পিছনে মূল পদ্ধতি হচ্ছে Content ID। সবাই আপনারা এটা জানেন, কিন্তু এই পর্যন্ত কেউ Content ID সিস্টেমে আপ্পলাই করার ধারের কাছেও গিয়েছিলেন নাকি সন্দেহ। খুবই কম মানুষ এই নিয়ে সতর্ক। বিশেষ করে বর্তমানে বাংলাদেশে। বড় বড় পপুলার চ্যানেলও কন্টেন্ট আইডিতে নিজের চ্যানেল আয়তাভুক্ত করেনি। যার পরিণাম একটাই, তার ভিডিও অন্যরা কপি মারে। আর সে সারাদিন বসে বসে একটা একটা করে রিপোর্ট মারে। তবুও কিছু হয় না।
দেখেন Content ID আপনার ভিডিওকে কি কি জিনিস হতে বাচাতে পারে। সাথে কোন কোন জিনিসে কপিরাইট ধরতে পারে।
যেকোনো ভিডিও এর Mashup বা Compliation
এমনকি রিমিক্স করা গানেও Content ID match হয়
গেম খেলার ভিডিও
মিউজিক বা ভিডিও
কোন stage performance এর ভিডিও
এমনকি কনসার্ট এবং বিভিন্ন শো পারফারমেন্সও
এখন বুঝতেই পারছেন এই জিনিসটা কতটা জরুরী। কিন্তু Content ID সিস্টেমে আপ্পলাই করার জন্য কিছু নিয়মাবলি আছে, সাথে রয়েছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এগুলোতে ভুল হলে আপনার অ্যাকাউন্ট ব্যানও হতে পারে, আর বড় সড় কিছু হলে আপনাকে কোর্টেও যাওয়া লাগতে পারে। তাই সব কিছু বুঝে শুনে করবেন। Content ID তে আপ্পলাই করার জন্য অবশ্যই আপনার চ্যানেলের এই জিনিসগুলো অবশ্যই থাকতে হবে
আপনার সব ভিডিও এর মালিক আপনাকে নিজেকে হতে হবে। এমনকি ভিডিওতে ব্যাবহার করা মিউজিকেরও। লাইসেন্স করা ভিডিও বা মিউজিক হলে অবশ্যই তার সার্টিফিকেট থাকতে হবে এবং তা আপ্পলাই করার সময় ইউটিউবে জমা দিতে হবে।
আপনার চ্যানেলের একটি ওয়েবসাইট থাকতে হবে এবং ওয়েবসাইটের ভালো ডিজাইন ও নেভিগেশন থাকতে হবে।
চ্যানেলে ওয়েবসাইট ভেরিফাই করা থাকতে হবে
চ্যানেলের বয়স কমপক্ষে এক মাস হতে হবে
চ্যানেলে সর্বনিন্ম ৫টি ভিডিও থাকতে হবে (যত বেশি হবে তত ভালো)
ভিডিও যে আপনার এর সঠিক কোন প্রমাণ, যেমন ভিডিওতে আপনার চেহেরা, লিখিত কোন তথ্য যা দেখে ইউটিউব নিশ্চিত হতে পারে যে আপনার চ্যানেলের সকল ভিডিও এর মালিক আপনি নিজে।
এগুলোই লাগতে পারে। যদি আপনি আপনার চ্যানেলের সকল ভিডিও স্বত্বাধিকার হিসেবে কোন প্রমাণ না দিতে পারেন, তাহলে ইউটিউব আপনার আপ্লিকেশন রিজেক্ট করবে। কিন্তু হতাশ হওয়ার কিছু নেই। তারা যদি মনে করে আপনাকে content id এর অন্য কোন টুলস দেয়া যেতে পারে, তাহলে তারা আপনার ভিডিও কপি হলে তা আপনাকে নটিফিকেশনের মাধ্যমে জানিয় দেবে। কিন্তু তারা এটি খুবই কমই দিয়ে থাকে। এই পর্যন্ত এরকম কাউকে দেখিনি।
এখন দেখা যাক কিভাবে Content ID তে আপ্পলাই করবেন।
আপনার যেই চ্যানেল দিয়ে কন্টেন্ট আইডির জন্য আপ্পলাই করতে চান সেই চ্যানেলে লগিন করুন।
এখানে যান youtube.com/content_id_signup
সকল ইনফরমেশন পূরণ করুন।
এইবার উপরের সকল তথ্য পূরণ করার পর নিচে দুইটা বক্স দেখবেন
প্রথমটি আপনি কেন Content ID Verfication Program এ আপ্পলাই করতে চান তার কারণ বিস্তারিত বলুন। 100-200 words দিলেই যথেষ্ট
এরপরের বক্সে আপনার ভিডিও এর একটি লিস্ট দিবেন, যেই ভিডিওতে আপনার স্পেশাল অধিকার রয়েছে (কিছু প্রমাণআদি দিতে পারলে আরো ভালো)
এখন সাবমিট করুন।
ইউটিউব আপনাকে একটা ফিরতি মেইল পাঠিয়ে দিবে। যার মধ্যে আপ্পলাই করার কনফারমেশন পাবেন।
এখন অপেক্ষা করুন যতখন পর্যন্ত না ইউটিউব কপিরাইট সেন্টারের মেইল থেকে আপ্প্রভ হওয়ার মেইল আসছে।
দারান দারান আপনার কাজ শেষ হয়ে যায়নি। যদি আপনার ভিডিও Content id program এ আপ্প্রভ হয়েও যায় তবুও আর কাজ আছে।
আপনাকে আপনার ভিডিও নিয়ে ইউটিউবে একটি এগ্রিমেন্ট দিতে হবে, যার মধ্যে আপনাকে দেখিয়ে দিতে হবে কোন ভিডিও এর উপর আপনি অফিশিয়ালি অধিকারের মালিক। আপনার চ্যানেলের ৫০%+ ভিডিও এর উপর আপনার সম্পূর্ণ কপিরাইট থাকতে হবে।
আর যদি আপনার ভিডিও এর উপর অধিকার পুরো বিশ্বব্যাপী না হয়, তাহলে আপনাকে বাংলাদেশের জন্য Ownership prove করতে হবে।
যদি কন্টেন্ট আইডি আপ্প্রভ হয় তাহলে আপনার ভিডিও কেউ কপি করলে আপনি তার বিরুধে এই অ্যাকশনগুলো নিতে পারবেন
ভিডিও বিশ্বব্যাপী ব্লক করা
ভিডিও তার বিরুধে মনেটাইজ করা। তার মানে ঐ ভিডিও এর অ্যাড রেভিনিউ থেকে যত যা টাকা আসবে সব আপনি পাবেন
ভিডিও মিউট করা
এতো কিছুর পর যে কেউ ভাবতেই পারে, কন্টেন্ট আইডি না থাকলে কপিরাইট ধরবে না। এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। কপিরাইট অবশ্যই ধরবে। কিন্তু Content ID এর মত এতো কঠোর ভাবে ধরতে পারবে না। আর কপিরাইট না আসলে অবশ্যই commercial use rights চাইবে।
৬ । জেনে নিন কিভাবে ইউটিউব ভিডিও র‍্যাঙ্ক করবেন
গুগলের সার্চ রেজাল্টে কোনও ওয়েবসাইট বা নির্দিষ্ট পেজকে প্রথমে আনতে চাইলে যেমন সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন করতে হয় ঠিক তেমনি ইউটিউবের সার্চ রেজাল্টে কোনও ভিডিও কে প্রথমে আনতে হলে ইউটিউব ভিডিও অপ্টিমাইজেশন করতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় নতুন কোনও ভিডিও পাবলিশ করার কিছুক্ষণ পরেই সেটা গুগলের সার্চ রেজাল্টে টপ শো করছে কিন্তু সেখান থেকে আবার খুব দ্রুত হারিয়েও যাচ্ছে, সেটা হয় শুধু মাত্র প্রপার অপ্টিমাইজেশনের অভাবে।
আমি ইউটিউব ভিডিও অপটিমাইজেশন নিয়ে খুব ভাল জানি না,নিজের কাজের জন্য স্টাডি করছি আর তাই সেখান থেকে কিছুটা সবার জন্য শেয়ার করছি। আশা করি আপনাদের উপকারে লাগবে। যেকোনো পরামর্শ সমাদরে গ্রহণ করা হবে।
ইউটিউব ভিডিও অপ্টিমাইজেশন টিপস (Youtube Video Optimization Tips):
নিম্নোক্ত ফ্যাক্টগুলো তখনই কাজে লাগবে যখন আপনার ভিডিওটি ভিওয়ারকে ভ্যালু দিতে পারবে। ভিডিওটি হতে হবে সুন্দর আর ইনফরমেটিভ।
ইউটিউব ভিডিও র‍্যাঙ্কে আনতে “অনপেজ অপটিমাইজেশন ” আর “অফপেজ অপটিমাইজেশন” দুটোর গুরুত্ব রয়েছে। চলুন দেখা যাক ইউটিউব অপ্টিমাইজেশন কিভাবে করতে হয়।
অনপেজ অপটিমাইজেশন (On Page Optimization):
১. রিলেভেন্ট কিওয়ার্ডসঃ একটি ওয়েবসাইটের কিওয়ার্ডেরস মতই একটি ভিডিওর কিছু রিলেভেন্ট কিওয়ার্ডস থাকবে যেটা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ! রিলেভেন্ট কিওয়ার্ডসের ভিডিও গুলোই সবসময় ইউটিউব সার্চে সবার উপরে প্রদর্শিত হয়। ভিডিও ডেসক্রিপশনের প্রথম ৫০ শব্দের মধ্যে সবচাইতে রিলেভেন্ট কিওয়ার্ড উল্লেখ করা জরুরি।
২. ভিডিও টাইটেলঃ ভিডিওর টাইটেলে সবচেয়ে টার্গেটেড কিওয়ার্ড দিতে হবে। টাইটেলে ভুল করে কোনওভাবেই ভিসিটরকে বিভ্রান্ত করা যাবেনা! কিওয়ার্ড দিয়ে টাইটেল শুরু করতে হবে আর খুব বেশি আকর্ষণীয় করতে হবে যেন দেখা মাত্রই বুঝা যায় এটাই সঠিক ভিডিও। কোনও ধারাবাহিক ভিডিওর ক্ষেত্রে প্রতিটা ভিডিওর টাইটেলে সিরিয়াল নাম্বার উল্লেখ করতে হবে,এতে এর আগের আর পরের সিরিয়ালের ভিডিওটি ইউটিউবের সাজেস্টেড ভিডিওস এ শো করাবে।
৩. ভিডিও ট্যাগঃ রিলেভেন্ট কিওয়ার্ড দিয়ে ভিডিও ট্যাগ পূরণ করতে হবে যেন ইউটিউব বুঝতে পারে এটা কিসের ভিডিও। ইউটিউব আপনার এই ট্যাগগুলো দেখেই ভিওয়ারের কাছে আপনার ভিডিও দেখাবে।
৪. ভিডিও ডেসক্রিপশনঃ খুব সুন্দর করে ইউটিউব ভিডিও এর ডেসক্রিপশন লিখতে হবে। সাধারণত ৩০০+ শব্দের ডেসক্রিপশন ইউটিউব প্রাধান্য দেয়। ডেসক্রিপশন হতে হবে ইউনিক আর সাজানো যেখানে ভিডিওর ব্যাপারে ইনফরমেশন দেয়া থাকবে। ডেসক্রিপশনে ৪ বার কি ওয়ার্ড উল্লেখ করা ভাল।
৫. থাম্বনেলসঃ থাম্বনেল একটি ভিডিওর প্রথম ইম্প্রেশন তৈরি করে। ভিডিও আপলোডের আর প্রোসেসিং এরপর ইউটিউব স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিও থেকে ৩টি স্ন্যাপ নিয়ে থাম্বনেল সাজেস্ট করে তবে সবসময়ই কাস্টম থাম্বনলকে ইউটিউব র‍্যাঙ্ক করার জন্য গুরুত্ব দিয়ে থাকে।
৬. ভিডিও ট্রান্সক্রিপ্টঃ ভিডিও র‍্যাঙ্ক করাতে ট্রান্সক্রিপ্টের গুরুত্ব আছে। সবচেয়ে ভাল কি ওয়ার্ড গুলো দিয়ে ভিডিও ট্রান্সক্রিপ্ট তৈরি করতে হয়।
৭. চ্যানেল অথারিটিঃ ইউটিউব চ্যানেল অথারিটি ভিডিও র‍্যাঙ্কে ভূমিকা রাখে। চ্যানেল অথারিটি বলতে ভিডিও ভিউ এর সাথে সাথে এঙ্গেজমেন্ট বৃদ্ধি , সাবস্ক্রাইবার এবং ওয়েবসাইট ও সোশ্যাল মিডিয়া পেজগুলোর সাথে চ্যানেলের লিঙ্কিং।
মূলত এগুলোই ইউটিউব ভিডিও র‍্যাঙ্কিং এর জন্য অনপেজ অপটিমাইজেশন। চলুন এবার জানা যাক অফপেজ অপটিমাইজেশনে কি কি করা লাগে।
অফপেজ অপটিমাইজেশন (Off Page Optimization):
১. হাই রিটেনশন ভিউসঃ কতজন মানুষ আপনার ভিডিও দেখলো আর দেখলেও কত সময় দেখলো সেটা অনেক জরুরি। হাই রিটেনশন ভিউ মূলত ভিডিওর টোটাল লেন্থের অন্তত ৫০%-৬০% পর্যন্ত দেখাকে বুঝায়।
২. ভিডিও কমেন্টসঃ ভিডিও র‍্যাঙ্ক এবং চ্যানেল অথারিটি বাড়াতে কমেন্ট অনেক গুরুত্বপূর্ণ! একটি ভাল ভিডিওতে অনেক পজিটিভ কমেন্ট থাকে, এর মানে ভিওয়ার ভিডিওটি গুরুত্ব দিয়েছে। কোনও ভাল কমেন্টে ধন্যবাদ কিংবা কারো প্রশ্নের উত্তর দিয়ে এঙ্গেজমেন্ট বাড়ানো র‍্যাঙ্কের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আবার নিজ থেকে বসে বসে কমেন্ট করতে যাবেন না কারণ ইউটিউব স্প্যাম কমেন্ট বুঝতে পারে।
৩. সাবস্ক্রাইবারসঃ ভিওয়ার ভিডিওটি পছন্দ করলে পরবর্তী ভিডিও বা আপডেটের জন্য সাবস্ক্রাইব করবে যেটা শুধু ইউটিউব না বরং গুগলের কাছেও প্রাধান্য সৃষ্টি করবে।
৪.ফেভারিটসঃ ভিডিও র‍্যাঙ্কের অন্যতম ফ্যাক্ট হচ্ছে কতজন মানুষ ভিডিওটি ফেভারিট করলো আর আর “Watch Later” লিস্টে অন্তর্ভুক্ত করলো।
৫. থাম্বস আপস/ডাউনস বা লাইকস/ডিজলাইকসঃ ভিডিও লাইক বা ডিজলাইকের উপর ভিডিও র‍্যাঙ্ক নির্ভর করে। কেউ ভিডিও পছন্দ করলে থাম্বস আপ দিবে আর বিরক্ত হলে থাম্বস ডাউন করবে। এটা ভিজিটরের কাছে ভিডিও এর ভিডিও কোয়ালিটি আর নির্ভরশীলতাও প্রকাশ করে।
৬.ব্যাকলিঙ্কসঃ ইনবাউন্ড লিঙ্কসমূহকে ইউটিউব ব্যাংকলিঙ্কস হিসেবে গণ্য করে। রিলেভেন্ট ব্যাকলিঙ্কস ইউটিউব ভিডিও র‍্যাঙ্কের জন্য উপকারী।
৭. সোশ্যাল শেয়ারস এবং এম্বেডসঃ ইউটিউব ভিডিও র‍্যাঙ্কের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও শেয়ার এবং ব্লগ পোষ্টে এম্বেডের অনেক অনেক গুরুত্ব আছে।
এগুলোই ইউটিউব ভিডিও র‍্যাঙ্কিং এর জন্য অফপেজ অপটিমাইজেশনের কিছু কাজ।
কিছু কাজ যা ভুলেও করবেন নাঃ
* অন্য কারো ভিডিও ডাউনলোড করে সেটা আপলোড করবেন না। কিংবা কপিরাইটেড ভিডিও পাবলিশ করবেন না।
* ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করার পর সেইম অ্যাকাউন্ট লগিন করা সময় নিজ থেকে View বাড়ানোর চোরা বুদ্ধি পরিহার করা উচিত। এতে চ্যানেল ব্যান খাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা আছে!
*ইউটিউব ভিউ এর সাথে সাথে লাইক/ডিজলাইকের একটা নির্দিষ্ট অনুপাত মেইন্টেইন করে। ভুলেও নিজ থেকে এগুলো করার চেষ্টা করবেন না। এগুলো করলে ইউটিউব পুরো চ্যানেলকেই ব্যান করে দিতে পারে।
৭ । ইউটিউব সম্পর্কিত কিছু কমন প্রশ্নের উত্তর – পর্ব ১
ইউটিউবে নতুনদের মনে অনেক রকম প্রশ্ন উকিঝুঁকি দেয়। তার মদ্ধে বেশ কমন কিছু প্রশ্নের উত্তর নিয়ে “ইউটিউব সম্পর্কিত কিছু কমন প্রশ্নের উত্তর” – এর প্রথম পর্ব শুরু করছি। চলুন প্রশ্নের উত্তর গুলো দেখে নেই।
প্রশ্ন – অ্যাডসেন্স থেকে আমার ইউটিউবের উপার্জন ঠিক করে দেখতে পারছি না কেন?
উত্তর – ইউটিউবের উপার্জন অ্যাডসেন্সের ড্যাশবোর্ড থেকে সরাসরি দেখে যায় না। এ জন্য আপনাকে অ্যাডসেন্সের ড্যাশবোর্ড থেকে পারফরমেঞ্চ রিপোর্ট> প্রোডাক্ট > হোস্টেড অ্যাডসেন্স ফর কন্টেইন্ট –এ জান। সেখানে গেলে আপনার সব উপার্জনের বিবরন দেখতে পারবেন।
প্রশ্ন – ইউটিউবের উপার্জন বাড়াবো কি করে?
উত্তর – এটা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নাই। ইউটিউবের উপার্জন টা অনেক কিছুর উপরে নির্ভর করে। যেমন সিপিসি, কান্ট্রি, ইত্তাদি ইত্যাদি। এটা সম্পর্কে আমাদের গ্রুপে আগেই খুব ভালো করে বলা হয়েছিল। লিঙ্ক – https://goo.gl/PvJQQD
প্রশ্ন – কপিরাইট ভিডিও কি করে ইউনিক করবো?
উত্তর – প্রথমেই বলি কপি মানেই চুরি। এটাকে ইউনিক করার কি দরকার? শুধু শুধু সময় নষ্ট। তবে একই বেপারে একটু বলি। অনেকেই আজ কাল রিএক্ট নামের একটা আজিব টাইপের ভিডিও বানান। যেখানে এটা পূর্ব প্রকাশিত ভিডিওতে নিজের চেহারা যোগ করে। অতঃপর “কুল, ওয়াও, হিহিহিহি” এই রকম বিশেষণ যুক্ত করে। আমি বেক্তিগত ভাবে এটা ভীষণ অপছন্দ করি। কারন এটি আপনার বেক্তিত্তর ১২টা বাজিয়ে দিবে। নিজে কিছু আইডিয়া জেনারেট করুন। এটি নিয়ে আগেও আলোচনা করা হয়েছিলো। দেখে নিন – http://goo.gl/xSe7zo
প্রস্ন – আমার একটি জিমেইলের একটি চ্যানেল ব্যান হওার পরে বাকি চ্যানেল গুলোও ব্যান হয়ে যায়। কারন কি?
উত্তর- এটা ইউটিউবের বহুল প্রচলিত একটি নিয়ম যা আমার নিজেরও খুব অপছন্দ। ধরুন আপনার একটি জিমেইলে ৪টি চ্যানেল আছে। এখন একটি যদি কোন কারনে একটি ব্যান হয়ে যায়, তাহলে বাকি ৩টিও ব্যান হয়ে যাবে। এর থেকে পরিত্রান পেতে আপনি আপনার সব গুলো চ্যানেল ভিন্ন ভিন্ন জিমেইলে করুন। অতঃপর একটি অ্যাডসেন্সে সব গুলো এসাইন করুন।
প্রশ্ন – ইউটিউবের ভিউ বাড়াবো কি করে?
উত্তর- প্রথমেই বলি এই বেপারে খুব সহজ কোন পথে হাঁটবেন না। আমিও নিজেও শুরুর দিকে একটা সময় থেকে পিটিসি সাইট থেকে subscriber, like, view আনতে চাইতাম। ফলাফল ছিল প্রচুর সময় নষ্ট। আর কিছু না। এসইও করুন। ইউটিউবের এসইও করার মোটামুটি সব রকম টিউটোরিয়াল লিঙ্ক নিছে দেওয়া হল
এসইওর ব্যাপারে কিছু কথা যোগ করি। কোন রকম টিউটোরিয়ালে বিশ্বাস করবেন না। নিজের রিসার্চে বিশ্বাস করুন। অবশ্য এ জন্য আগে টিউটোরিয়াল দেখুন। তার পরে তাকে নিজের কাজ, ফলাফল এবং যুক্তির সাথে মিলান। তার পরে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার কি করা উচিত।
প্রশ্ন – সিটিআর (CTR) কি?
উত্তর – গুগল অ্যাডসেন্স তাদের এডের ভিউ এবং প্রাপ্ত ক্লিকের একটি অনুপাত করে। এটিকে মুলত (clickthrough rate) সিটিআর বলা হয়। আমার মতে এটি ১০এর নিচে থাকা উচিত। সিটিআর ১৫ এর উপরে উঠে গেলে বিনা নোটিশে অ্যাডসেন্স ব্যান যাওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু না। এটিকে কমিয়ে রাখার জন্য নিজে থেকে ফেক ক্লিক থেকে বিরত থাকবেন। নিজের শত্রু, পিটিসি ক্লিকার, রোবট ক্লিকার থেকে দূরে থাকবেন। নাহলে আমের (অ্যাডসেন্স) সাথে ছালা (উপার্জন) দুটিই হারাবেন। ভালো করে এসইও করুন, নিয়মিত ভিডিও আপলোড করুন, এমনিতেই ক্লিক পাবেন। ভিউ থাকলে ক্লিকও পাবেন।
গুরুত্তপূর্ণ সফটওয়্যার – ইউটিউবের ভিডিও বানানোর জন্য আপনার প্রয়জনিও সফটওয়্যারের বেপারে একটু বলি।
Screen o matic – আমি আমার প্রথম ইউটিউব ভিডিওটি এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে করেছিলাম। কম্পিউটারের স্ক্রীন রেকর্ড করার জন্য ভালোই কাজে দেয়। একই সাথে স্ক্রীন ও ভয়েস রেকর্ড ক্ষমতা সম্পন্ন এই সফটওয়্যারের পেইড ও ফ্রী ভার্সন ২টিই আছে বাজারে। ফ্রী সফটওয়্যার দিয়ে আপনি এক টানা ১৫ মিনিট ভিডিও করতে পারবেন।
Wondershare video editor – ছোট খাটো চমৎকার একটি ভিডিও এডিট করার সফটওয়ার। আমার প্রথম জিবনের ভিডিও এডিটর। এটি দিয়ে আপনি যে কোন ছোট খাটো ভিডিও এডিটের কাজ অনায়াসে করতে পারবেন।
Camtasia – এটা সব থেকে কাজের জিনিস। একটি মাত্র সফটওয়্যার দিয়ে আপনি স্ক্রীনরেকর্ড এবং এডিটের কাজ সেরে নিতে পারবেন। বর্তমানে আমি এবং আমার পরিচিত অনেক প্রফেশনালরা এটাই ব্যাবহার করেন।
আমি মুলত নতুনদের জন্য লিখেছি। যারা নতুন, তারা পড়লে তাদের মনের অনেক প্রশ্নই যেন দূর হয়ে যায়। ভালো লাগলে পোস্টটি শেয়ার করুন, যাতে নতুনরা জানতে পারে। আমি যা জানি শেয়ার করার চেষ্টা করতেছি, আশা করি অভিজ্ঞরা কোন ভুল পেলে ধরিয়ে দিবেন। সবাই ভালো থাকবেন। উপরওয়ালা সবাইকে ভালো রাখুক। আবার দেখা হবে ইনশাআল্লাহ্‌ পরবর্তী ইউটিউব অ্যাডসেন্স পার্ট নিয়ে।
৮ । একদম নতুনদের জন্য ইউটিউব ভিডিও মার্কেটিং
কিভাবে বাংলাদেশ এর নামকরা ইউটিউবার, সালমান মুক্তাদির, আসিফ বিন আজাদ, শামীম হাসান সহ যাদের কে সবাই ইউটিউবার হিসিবে চিনে কিভাবে এমন নামকরা ইউটিউবার হতে পারবেন কিভাবে গেম খেলে ইনকাম করবেন এবং আরও কিছু উপায়ে ইনকাম করতে পারবেন তার গাইডলাইন
সো প্রথমে জেনেনিন কিভাবে একজন সফল ইউটিউবার হতে পারেন
কি কি লাগবে? ?
# একটি ইউটিউব একাউন্ট
# একটি মোটামোটি ভালো মানের কম্পিউটার
# ওয়েব ক্যাম
# ডিজাটাল ক্যামেরা, আপনার মুঠোফোন টি ও কাজে লাগাতে পারেন, ভালো ক্যাম্যরা লাগবে এমন কোন কথা নাই
# ইন্টারনেট কানেকশন
# ভালো ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার ( হিট ফিল্ম এক্সপ্রেস এটা ব্যবহার করতে পারেন একদম ফ্রি এটা দিয়ে হাইকোয়ালিটি ভিডিও এডিটিং করা যায় ( ইউটিউবে কি ভাবে এটা দিয়ে কাজ করবেন ফুল টিউটোরিয়াল দেয়া আছে
# কিছু ভাল বন্ধু যারা নিশার্থ ভাবে আপনার সাথে কাজ করবে
আমাদের দেশে অনেক ইউটিউবার রয়েছেন তাদের মধ্যো এ গুটি কয়েক জন সাক্সেস রয়েছেন আরও অনেকে কাজ করতেছেন কিন্তু সাক্সেস হতে পারতেছেন না কি ভাবে সাক্সেস হবেন তা নিয়েই ই আমার এই লেখা
সাক্সেস ফুল ইউটিউবার হল সবার পরিচিত ব্যক্তি ইন্টারনেট এর দুনিয়ায়, যারা কিনা পপুলার গেমস, ফানি ভিডিও, প্রাংক ভিডিও, মোবাইল আনবক্সিং ভিডিও তৈরি করে থাকে এবং তা ইউটিউবে আপলোড করে এবং সেটা থেকে টাকা ইনকাম করে থাকে, এবং অনেকে আছে যারা তাদের প্রতিদিনের লাইফ স্টাইল এর ভিডিও আপলোড করে টাকা ইনকাম করে থাকে
এবার আপনি চিন্তা করুন কোনটি করবেন?
মনে করেন আপনি ভালো কমেডিয়ান তাহলে আপনি ফানি ভিডিও নিয়ে কাজ করতে পারেন দুই তিন জন ভালো বন্ধু নিয়ে ফানি ভিডিও তৈরি করতে পারেন কেমন টাইপের ভিডিও মানুষ দেখে তার আইডিয়া নিতে ইউটিউব এ গিয়ে বাংলা ফানি ভিডিও লিখে সার্চ দিন আইডিয়া পেয়ে যাবেন
একটি সুন্দর ইউটিউব এর চ্যানেল এর নাম দিন, অনেকেই দেখি আলতু ফালতু নাম দেন
আপনার চ্যানেল এর জন্য প্রথম ভিডিও তৈরি করুন : অনেকে আছে খালি স্লাইড ভিডিও বানায়, স্লাইড ভিডিও দিয়ে তেমন সফল হওয়া যায়না এটি আপনি আপনার মুঠো ফোন দিয়ে রেকর্ড করে আপলোড করতে পারেন তাতে করে তারা তারি সফল হবেন আপনার ভিওয়ার বাড়বে সাবসক্রাইবার ও বাড়বে তারাতারি
# আপনার ভিডিও টি ভালোভাবে এডিটিং করুন কিছু টেকস্ট ইমেজ ইফেক্ট দিন দএতে করে আপনার ভিডিওর লুক অনেক ভাল হবে এবং দেখতে অনেক প্রফেশনালি দেখাবে
# ভিডিও এডিট করা শেষ হলে এবার আপলোড করার পালা, আপলোড করার সময় অবশ্যই ভালোভাবে টাইটেল ট্যাগ এবং ডেসক্রিপশ্ন দিবেন এই গুলা যদি ঠিকমত না দেন তাহলে আপার ভিডিও তেমন ভিউ হবেনা আর ভিডিও ভালো ভাবে SEO করবেন তাতে করে আপনার ভিডিও র্যাকং হবে তারাতারি, আর ভালো একটি ভিডিও থাম্বলাইন দিবেন শুধু মাত্র এক্টি ভাল ভিডিও থাম্বলাইন এর কারনে আপনার একটি ভিডিও ১৫০ গুন পর্যন্ত বেশি ভিউ হতে পারে, কিভাবে থাম্বলাইন বানাবেন সেটা দেখতে ইউটিউবে গিয়ে how to make youtube thambnil লিখে সার্চ দেন সব পেয়ে যাবেন কি ভাবে কি করতে হবে
আর যারা ইউটিউবে অনেক পপুলার তাদের ভিডিও তে দেখবেন অনেক সুন্দর সুন্দর থাম্বলাইন দেয়া আর তাদের ভিউ ও অনেক
# আপনার ভিডিওর ভিউ বাড়াবেন যেভাবে #
সব কিছু হয়ে গেরে ভিডিও টি আপনার কাছের বন্ধু বান্ধব এর কাছে শেয়ার করুন তাদের দেখতে বলুন এবং শেয়ার করতে বলুন এবং সাসক্রাইব করতে বলুন আর ভিডিও টি ফেসবুক, টুইটার, রেডিট, গুগোল প্লাস এ শেয়ার করতে বুলবেন না, আর টুইটার এ ফলোয়ার বাড়াতে টুইপি সাইটটা ব্যবহার করতে পারেন ভালো ফল পাবেন, আর আপনি যদি আরেকটু তারাতারি সফল হতে চান তাহলে ফাইবারের সার্ভিস নিতে পারেন এখান থেকে ভিউ এবং সাস্ক্রাইবার কিন্তে পারবেন আপনার পরিচিত ইউটিউবার কে আপনার ভিডিও টি দেখতে এবং সাস্ক্রাইব করতে বলুন এতে করে আপনার ভিডিও টি ও মিলিয়ন ভিউ হয়ে যাবে
এটা ও একটা সিক্রেট টিপস
# ভিডিও এর এর কোয়ালিটি অনেক ভালো রাখতে হবে, লো কোয়ালিটির ভিডিও বানালে তেমন সফল হবেন না ভিডিও ৭২০ p hd তে রাখার জন্য ট্রাই করবেন করবেন সব সময়
কিছু টিপস :
সব সময় ইউনিক ভিডিও বানাবেন কারো থেকে কপি মারার ট্রাই করবেন না
ভিডিও তে কোন স্পাম করবেন না, অশাধু উপায়ে কাজ করবেন না,
ভিডিও বানানো থামাবেন না , যারা সফল ইউটিউবার তারা ও আপনার মত ছিল, তাদের ও প্রথম অবস্থায় কোন সাবস্ক্রাইবার ছিলনা সো বেশি করে ভিডিও বানালে ভিডিও বানালে আমার দেয়া ট্রিকমত সফল হবেন ই 🙂
গেল কিভাবে ইউটিউবার হবেন 😛
কিভাবে আপনারা গেমস নিয়ে কাজ করবেন, কি সফটওয়্যার ব্যবহার করবেন,কিভাবে একজন সফল ইউটিউব গেমার হবেন আরও বিভিন্ন টিপস যাই হোক কথা না বাড়িয়ে শুরু করলাম!!!
১ / প্রথমে আপনার একটি হাই কনফিগ এর পিসি লাগবে, কোর আই ৫ প্রসেসর, ৪ জিবি র্যাম, ৮ জিবি হলে আরও ভালো হয়, এবং ২ জিবি গ্রাফিক্স কার্ড , ১ টেরা বাইট হার্ড ডিক্স
২/ প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার, আপনার স্কিন রেকর্ড করার জন্য FRAPS অথবা camtasia, power director,bandy cam ব্যবহার করতে পারেন, আপনি যদি আপনার নিজের ভিডিও করতে চান তাহলে একটি ভিডিও ক্যামেরা রাখতে পারেন, এবং আপনার সাউন্ড ও আপনি রেকর্ড করতে পারেন তাতে করে আপনার চ্যানেল এর জনপ্রিয়তা অনেক তারা তারি পাবে ভিউ ও পাবেন অনেক আর হা অডিও এডিটিং এর জন্য audio city ব্যাহার করতে পারেন এটি ফ্রি এবং ব্যবহার করতেও অনেক ইজি
৩/ ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার, আপনি বিগিনার হয়ে থাকলে ক্যামটাসিয়া, windows movie maker, ব্যবহার করতে পারেন আর আপনি যদি আপনার গেম এর ফুটেজ কে আরও প্রফেশনাল লুক দিতে চান তাহলে sony vegas pro, adobe premier pro এবং after effects ব্যবহার করতে পারেন
৪/ আপনার সব যখন হাতের মুঠোয় থাকবে এবার আপনার ভাবভার পালা আপনি কি গেমস খেলতে চান? এখন বতর্মানের সাড়া জাগানো গেমস গুলো হলো, fifa, grand theft auto, minectaft, skyrim, এবং lego games আমি এখন ফিফা, পকিমন গো আর মিনিক্রাফট খেলি ভিউ ও আসে অনেক ভাল,
৫/ যখন আপনার গেম ও সিলেক্ট হয়ে যাবে তখন শুধু আপনার খেলার পালা আর রেকর্ড করার পালা, গেমের রিভিও দেয়ার পালা, এরপর ভালো ভাবে এডিটিং করে ইউটিউবে আপলোড করার পালা, আর আপনারা যারা গেমিং নিয়ে কাজ করবেন তারা ২-৩ জন মিলে করবেন, একজন ভিডিও এডিটিং করবেন আরেক জন অডিও এডিটিং করবেন, আরেকজন ভালো ভাবে ইউটিউব চ্যানেল টাকে অপটিমাইজ করবেন, আর যখন কাজ করবেন তখন একটা শিডিউল করে নিবেন কখন কি কাজ করবেন,
৬ / সব ইতো করলেন এখন বলবেন গেমসতো খেলি কিন্তু ভিউ পাইনা কেন, আমার ভিডিও তে ভিউ আসেনা কেন? এই প্রশনের উত্তর হল আপনি আপনার ভিডিও টাকে ওপটিমাইজ করে নিতে হবে, আপনার ভিডিও টা অবশ্যই HD কোয়ালিটির হতে হবে কমপক্ষে 720p আর 1080p হলে আরও ভালো হয় তাহলে আপনার যে ভিওয়ার আছে তারা দেখে ভালো লাগলে আরও অনেক যায়গায় শেয়ার করবে, আর ভিডিও যখন আপলোড দিবেন তখন অবশ্যই ভালো ভাবে টাইটেল, ট্যাগ, ডিস্ক ক্রেপশন ভালো ভাবে দিবেন আর আপনার ভিডিও টা অবশ্যই ফেসবুক, টুইটার, গুগোল প্লাস, পিন্টারেস্ট, ডেইলিমোশোন এ শেয়ার করবেনা তাহলে ভালো ভিউ পাবেন, আর যখন আপনার ভয়েজ দিবেন তখন অবশ্যই ইংরেজিতে কথা বলার জন্য ট্রাই করবেন তাহলে আপনি হিউজ পরিমান টাকা ইনকাম করতে পারবেন 😀
কিছু টিপস :
আপনি যখন ভিডিও মেক করবেন তখন সেখানে মানুষ দেরকে বিনোদোন দেয়ার জন্য ট্রাই করবেন তাতে করে আপনার চ্যানেল এর পপুলারিটি অনেক বৃধি পাবে
কখোনো ই অন্য মানুষ কে কপি করবেন না, আপনি নিজে করার জন্য ট্রাই করবেন
খুব ভালো এবং HD কোয়ালিটির ভিডিও মেক করবেন তাহলে আপনার ভিউয়ার আপনার পুরো ভিডিও টি দেখবে
আপনার কমেন্ট বক্স এ অনেকে খারাপ মন্তব্য করতে পারে সেটাকে আপনি পজিটিভ ভাবে নিবেন
যখন ভিডিও এডিট করবেন তখন ভিডিও তে intro দেয়ার জন ট্রাই করবেন এটা ও ভিউ ভারাতে অনেক কাজে দিবে
আপনার চ্যানেল এর অন্য ভিডিও এর উপরে আপনার অন্য একটি ভিডিও রাখবেন তাহলে আপনার ভিউ বাড়বে
আর সর্বশেষ কথা হলো ভিডিও মেক করা কখোন ও বন্ধ করবেন না
আর কারো কোন বুজতে সমস্যা হলে কমেন্ট করবেন 🙂
আরও কিছু উপায় 😛 😀
ইউটিউব থেকে আয় করার ৮ টি ক্রিয়েটিভ উপায় : ইউটিউব থেকে ইনকাম করুন আজ থেকেই
১ /
আপনার ওয়েবসাইট এর ট্রাফিক বাড়াতে
মনে করেন আপনার একটি ওয়েব সাইট আছে, এখন সেই ওয়েব সাইট এর জন্য ট্রাফিক দরকার এর জন্য আপনি ইউটিউব ব্যাবহার করতে পারেন, আপনি আপনার ওয়েবসাইটকে টার্গেট করে ভিডিও বানাতে পারেন ওয়েব সাইটের মাধ্যমে আপনি কি কি সার্ভিস দিতে চান সেটার উপর একটা ভিডিও তৈরি করেন এই ভিডিও আপনি পাওয়ার পয়েন্ট, উইন্ডোজ মুভি মেকার দিয়ে খুব সহজে ভিডিও তৈরি করতে পারেন এতে করে আপনার যখন আপনি ভিডিও আপলোড করবেন তখন ভিডিও এর ডেসক্রিপশন এ আপনার ওয়েব সাইটের লিংক দিয়ে দিবেন তাতে করে আপনার ওয়েব সাইটের ট্রাফিক বাড়বে সেখান থেকে একটা ইনকাম আসবে আবার আপলোড করা ভিডিও থেকেও ইনকাম আসবে
২ /ইউটিউবে নিজের প্রোডাক্ট বিক্রি করে আয় করুন : ইউটিউবের মাধ্যমে এখন আপনি নিজের প্রোডাক্ট বিক্রি করতে পারেন আপনার ইবুক, মিউজিক, মোবাইল সফটওয়্যার, আপনার প্রোডাক্ট ভিডিও তেৈরি VideoMakerFX ব্যবহার করবেন এবং ইউটিউবে আপলোড করার সময় আপনার পন্য টি কিনার লিংক দিয় দিবেন ভিডিও ডেসক্রিপশন এ
৩। এ্যফিলিয়েট মার্কেটার হয়ে প্রোডাক্ট সেল করে আয় করুন : এ্যফিলিয়েট মার্কেটিং হল কিছু কমিশন এর মাধ্যমে অন্যের প্রোডাক্ট সেল করে আয় করা, হাজার হাজার কোম্পানি এ্যফিলিয়েট মার্কেটার দের সাথে চুক্তি করে তাদের কোম্পানির প্রোডাক্ট সেল করে দেয়ার জন্য এবং তাদের কোম্পানির প্রচার এর জন্য যেমন Amazon and eBay, ClickBank, and ShareASale.com
ইউটিউব থেকে এ্যফিলিয়েট মার্কেটার হয়ে আয করতে চাইলে আপনি তাদের প্রোডাক্ট এর রিভিও ভিডিও তৈরি করে এবং কিভাবে এটা ব্যাবহার করা যায় তার উপর টিউটোরিয়াল তৈরি করবেন যখন আপনি ইউটিউবে তাদের ভিডিও আপলোড করবেন তখন আপনার এ্যফিলিয়েট লিংক ভিডিও ডেসক্রিপশন এ দিয়ে দিবেন এখন পন্য টি যতবার সেল হবে আপনি তার উপরে একটা কমিশন পাবেন
৪ / হয়ে যান ইউটিউব পার্সোনালিটি : ইউটিউব এ স্টার যারা আছে তারা মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার আয় করতেছে BlueXephos তার ই উদাহরন এই চ্যানেল টিতে বিলিয়ন ভিউ হয়েছে আরও হবে সে প্রতি ১০০০ ভিউতে প্রায় ৬ থেকে ৭ ডলার ইনকাম করে নিচ্ছে এখন আপনি সালমান মুক্তাদি বা শামিম এর মত আপনার বন্ধু বান্ধব নিয়ে বাংলা ফানি ভিডিও, শিক্ষা মূলক ভিডিও, তেরি করে ও ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে পারেন
৫ / টিউটোরিয়াল ভিডিও তৈরি করে ইনকাম করুন : ইউটিউবে টিউটোরিয়াল ভিডিও এর অনেক চাহিদা রয়েছে, মনে করেন আপনি ফটুশপ, এবং বিভিন্ন ভিডিও এডিটং, ওয়েব ডিজাইন এর কাজ যানেন এখন এগুলোর উপর টিউটোরিয়াল তৈরি করে ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে পারেন আর টিউটোরিয়াল ভিডিও ইউটিউবে ভিউ হয় অনেক
৬/ ইউটিউবে আপনার বাচ্চার অথবা আপনার পোষা বিড়াল এর ভিডিও দিয়ে ইনকাম করুন : আপনি ইউটিউবে পপুলার অথবা স্টার হতে হলে বড় সিংগার, বড় গায়ক হতে হবে এমন কোন কথা নেই আপনি আপনার বাচ্চার, বিড়াল এর, ফানি ভিডিও গুলো মুঠোফোন এর মাধ্যমে ভিডিও করে ইউটিউবে আপলোড করে দিন, দেখবেন কি পরিমান ভিউ হয়, আর ইউটিউবে আপনি baby funy video, animal video লিখে সার্চ দিয়ে দেখবেন সেই ভিডিও গুলোতে কি পরিমান ভিউ
৭/ গেমস খেলে এবং সেটা স্কিন রেকর্ড করে ইউটিউবে আপলোড করে ইনকাম করুন : আপনি যদি গেম পাগলা হয়ে থাকেন তাহলে সেটা ইউটিউবে আপলোড করে আপলোড করে ইনকাম করতে পারেন, বর্তমানে পকিমন গো, ফিফা গেম, এবং মিনিক্রাফট গেম এর অনেক চাহিদা রয়েছে এই গুলা খেলে স্কিন রেকর্ড করে ইউটিউবে আপলোড করে হাল্কা এডিটিং করে ইউটিউবে আপলোড করুন এবং ইনকাম করুন
৮/ নতুন নতুন মোবাইল এর আনবক্সিং ভিডিও এবং সেটার রিভিও দিয়ে ইনকাম করুন : আপনার যদি মোটামোটি ভালো বাজেট থাকে তাহলে নতুন নতুন ফোন কিনে সেটার রিভিও দিতে পারেন, মোবাইল ফোন এর অানবক্সিং এবং রিভিও ভিডিও এর ইউটিউবে অনেক চাহিদা রয়েছে, সব চাইতে বেশি ইনকাম করতে পারবেন যদি রিভিও দেয়ার সময় ইংরেজী তে কথা বলে দিতে পারেন, ইংরেজি বলাটা উপরোক্ত সব গুলো গুলো আয়ের মাধ্যমে ব্যবহার করতে পারলে আপনার ইনকাম আরও বহুগুন বেড়ে যাবে
পোস্ট কৃতজ্ঞতায় – ১-৭ নামাবার পোস্ট শ্রধেয় রুবেল ভাই এর ব্লগ থেকে । ৮ নাম্বার পোস্ট হানিফ ভাই এর ।

2 thoughts on “ইউটিউব ভিডিও মার্কেটিং টিউটোরিয়ালঃ ইউটিউব থেকে আয় / ইনকাম করার সেরা উপায়

Add yours

Leave a comment

Create a website or blog at WordPress.com

Up ↑